বৃষ্টি দিনের গল্প

হঠাৎ করেই বৃষ্টিটা নামলো। আষাঢ়ে ঝুম বৃষ্টি। অফিসে যাবো বলে নিচতলায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। রহমান মিয়া মাত্র দু মাস আগে কেনা গাড়িটা গ্যারেজ থেকে বের করে এনে নিঃশব্দে আমার সামনে এনে দাঁড় করালো। গাড়ির দরজা খুলে পাশে দাঁড়িয়ে রইলো মুখ নিচু করে। রহমান মিয়া আমার দিকে কখনো চোখ তুলে তাকিয়ে কথা বলেনা। সে আমাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে। এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার আমাকে সে বেশ ভয়ও পায়। ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং। একটা বড় সড় গোছের চাকরিই করি। অধঃস্তন কর্মচারীরা আমাকে দেখে ভয় পাবে,একটু ভুরু কুচকে চাইলেই তোতলানো শুরু করবে;এসির হিমহিমে ঠান্ডা রুমে দাঁড়িয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে টেনশনে জমে ওঠা কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছবে- এমন কিছু হওয়া আশ্চর্যের নয়।বরং খুবই স্বাভাবিক। বাকিটুকু পড়ুন

যেদিন চলে এলাম

আমাদের হাউজের সামনে থেকে শুরু করে একেবারে একাডেমি ব্লক পর্যন্ত লাইন। কলেজ জীবনে কোনদিন চোখে পড়ার মত কিছু করিনি। আমার মতো ছেলেদেরকে সবার চোখে পড়িয়ে দেয়ার জন্যই বিদায় বেলার এ আয়োজন, তখন এমনটিই মনে হচ্ছিল। একে একে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যখন ক্লাসমেটদের মাঝে আসলাম তখন অনুভূতিটা কেমন ছিল মনে নেই। কারণ মনে রাখার মতো কোন অনুভূতি হচ্ছিল না।
কলেজ মসজিদের সামনেই আমাদের গাড়িটা পার্ক করানো। আব্বু-আম্মু কেউ আসে নি, আসার কারণও নেই। বয়স তো আর কম হয়নি আমার। ড্রাইভার বদলুল ভাই মুখে চিরাচরিত সেই হাসি মেখে বলেছিলেন,
– কেমন আছেন ভাইজান? আরও পড়ুন

শেখার কোন শেষ নাই, যদিও তা’ বাথরুমে হয়

ক্লাস সেভেনের প্রথম সাতদিনের দ্বিতীয় দিনের কথা।বারবার শপে চুলগুলা স্বত্ব ত্যাগ করে দান করা শেষে সবেমাত্র হাউসে এসেছি।গোসল করতে বাথরুমে যাবো।গত রাতে গাইডের কাছ থেকে শেখা বাথরুমে নেক্সট নেবার নিয়ম গুলা মনে মনে আউড়ে নিলাম।প্রথমে বাথরুম এর দরজায় নক করতে হবে।ভেতর থেকে উত্তর আসবে-ইয়েস।তারপর আমি বলবো-কাইন্ডলি আপনার নেক্সট? কেউ নেক্সট থাকলে ভেতরের জন তার নাম বলবে।আর না থাকলে বলবে নাই।তখন আমাকে গদগদ কন্ঠে নিজের নামটা বলতে হবে-কাইন্ডলি আপনার নেক্সট অমুক।কয়েকবার রিভিশন দেবার পর যখন বুঝলাম মুখস্ত খারাপ হয়নি তখন আল্লাহর নাম নিয়ে বাথরুমের দিকে পা বাড়ালাম। তারপর?

কি ভয়ংকর রকমের বোকা আমি?

কিছুদিন আগে কারো অনুরোধে ঢেঁকি গিলেছিলাম একটা। যার ফলে বদহজমটা বেশ ভালভাবেই চলে এল। শুধু একটা ব্যাপারই এথেকে শিখলাম,
“কি ভয়ংকর রকমের বোকা আমি?”

তার ফোনে ব্যালেন্স না থাকায় আমাকে বলেছিল, আরেকটা নাম্বারে ফোন করে একটা খবর দিতে। গিললাম সেই ঢেঁকি। যার ফলে টেলিকম পরীক্ষার আগের দিন আজ পড়লাম ভাল গ্যাঁড়াকলে।

শুধু এটাই ভাবি, একবারও আমার মাথায় তখন কেন এল না যে, “তার ফোনে যদি ব্যালেন্স না থাকে, তাহলে সে আমাকে কি করে কল করেছিল?”
সত্যিই সেলুকাস, বড়ই বোকা আমি।

জীবনের প্রথম অবস্ট্যাক্‌ল


কলেজে সর্বসাকুল্যে পাঁচবার অবস্ট্যাক্‌ল কোর্স করতে হয়েছে। কোন অবস্ট্যাক্‌লে যে কি কাহিনী ঘটিয়েছিলাম কিচ্ছু মনে নেই। কাহিনী অনেকই মনে আছে কিন্তু কোনটা কোন বছরের তা বের করাটা সহজ না। ক্লাস টুয়েলভের টাও তেমন মনে পড়ছে না। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে ক্লাস এইটে করা জীবনের প্রথম অবস্ট্যাক্‌লের কথা। কারণ তো বোঝাই যাচ্ছে, ব্যতিক্রমী কিছু ঘটেছিল। সে কাহিনীটাই বলতে চাচ্ছি এবার।

জীবনের সবচেয়ে জটিল রোগগুলো হয়েছিল ক্যাডেট কলেজে থাকতেই। ক্লাস এইট থেকে শুরু। প্রথমে “চিকেন পক্স” হল। যথারীতি অ্যাডমিট হলাম কলেজ হাসপাতালের স্পেশাল ওয়ার্ডে। স্পেশাল বলতে একটা দুই বেডের ঘরকে বোঝানো হতো তখন, অনেকে আবার আইসোলেশন ওয়ার্ডও বলতো। বাকি অংশ >>

ঈষৎ অতিরঞ্জিত… ধন্যবাদ

নামগুলো সবগুলোই সত্যি। স্যার-ম্যাডাম ও ভাইয়াদের কাছে কাছে মাপ চেয়ে নিচ্ছি।০১. খুব হাসিখুশি হাসানুজ্জামান ভাই, গত চার পাঁচদিন ধরে কারো সাথে কথা বলছেন না, কি যেন একটা বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত। সারাদিন খাতায় জটিল সব ক্যালকুলেশন আর আঁকিবুকি করছেন। প্রেপেও খুব মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করছেন কি যেন। বাকিটা পড়ার দরকার নাই

প্রভাত ফেরী এবং আমার নুডলস খাওয়া…

ক্যাডেট কলেজে যাবার আগে এমন অনেক কিছুই প্রিয় ছিল যেগুলো করতে অনেক ভাল লাগতো। তার মধ্যে নুডলস খাওয়া একটা।খাওয়া দাওয়া জিনিসটা আমার কাছে কোনকালেই তেমন একটা পাত্তা পায়নাই।ফলস্বরুপ ভার্সিটিতে যখন ফুটবল খেলি গাব্দা গোব্দা সাইজের দশাসই আফ্রিকান গুলোর সাথে ধাক্কাধাক্কিতেও তেমন একটা পাত্তা পাইনা।আমার মত এমন পাত্তা না পাওয়া মানুষের কাছেও নুডলস জিনিসটা কেন যেন খুব ভাল লাগতো।কিন্তু কলেজ অথরিটির কাছে ব্যাপারটা মোটেও ভাল লাগেনি।কলেজ এ গিয়ে এহেন নুডলস এর সাথে পরিচয় ঘটলো যে আমার ভাল লাগা প্রথম দুই সপ্তাহেই উর্ধপাতন প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি গায়েব।এর মধ্যে আবার মরার উপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়ালো ডাইনিং হলে আমার পাশে বসা এক সিনিয়র। বাকি অংশ পড়ুন

স্বপ্নহন্তা


ক্লাস নাইনে উঠেছি কেবল। জানুয়ারি মাস হবে। বুঝলাম আমাকে কেউ ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এক অল্টারনেট সিনিয়রের কাছে। বুঝতে হল কারণ, কোন প্রমাণ ছিল না। কেউ জানে না কে বলেছে, কিন্তু আমাদের হাউজের জনৈক অল্টারনেট সিনিয়র জেনেছেন, আমার হাতের লেখা নাকি ভাল। অল্টারনেট সিনিয়ররা তখন এসএসসি ক্যান্ডিডেট। পরীক্ষার চাপ আর রচনা নোট করার কাল। নোটের কাজটা আমাকে দিয়ে সারিয়ে নিতে মনস্থ করলেন তিনি। একটা বড় সাইজের কলেজ খাতা ধরিয়ে দিলেন, আর সাথে দিলেন উনার আরেক ক্লাসমেটের খাতা। এ খাতা থেকে ও খাতায় তুলতে হবে। কম করে হলেও ১৫টা রচনা। — বাকি অংশ পড়ুন >

যে হাসি ঠোঁটেই শুকিয়ে যায়

নাম ছাড়া কোন মানুষ হয়না।যেমন হয়না বিশেষত্ব ছাড়াও।ক্যাডেট কলেজের টীচারদের দেখলে সেটা আরো ভাল করে বোঝা যায়।বিশেষত্ব অনুযায়ী নামকরণ ক্যাডেট কলেজে অনেকটা ফরজের পর্যায়েই পড়ে।সেই সব বিশেষণ একত্রিত করা হলে দুই তিনটা বাংলা গ্রামার বই মার্কেটে ছাড়া কোন ব্যাপারই না।উপযুক্ত নামকরণের বেলায় কারো ছাড়ন নাই।সে রাশভারী চেহারার কোন শিক্ষকই হোক কিংবা পাশের বেড এর জিগরি দোস্তই হোক।

ক্লাস ইলেভেন এর কথা।হঠাৎ শোনা গেল আমাদের ভিপি স্যার(ভাইস প্রিন্সিপাল) বদলি হতে যাচ্ছেন।শুনে কারো ঠিক বিশ্বাস হতে চায়না।নানা ভেজালের মধ্যে দিন কাটাতে কাটাতে হঠাৎ কোন সুসংবাদ শুনলেই বরং কেমন অস্বাভাবিক লাগে।এও সম্ভব? বাকি অংশ পড়ুন

কিছু চিঠি… আর… কিছু স্মৃতি

“Cadet no-1976, Fall Out….”
আমার ছয় বছরের ক্যাডেট জীবনে শুনতে চাওয়া সবচেয়ে প্রিয় এবং আকাঙ্ক্ষিত শব্দগুলোর মধ্যে এটি লিস্টির একেবারে উপরের দিকেই লটকে থাকবে।

আমি ছেলে হিসেবে খুব বেশি সাহসী নই।অতি নিরীহ জীব। কারো সাতেও নাই,পাঁচেও নাই।আর সব ডেয়ারিং ক্লাসমেট এর মত বেসম্ভব মাইর কিংবা পানিশমেন্ট খেয়ে কিছুই হয়নাই এমন ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারিনাই কোনদিন।জানালার পাশের বেড পাওয়ার সৌভাগ্য আমার জুনিয়র ক্লাস থেকেই বাড়াবাড়ি রকমের ছিল।সেই অনুযায়ী আমার সিনিয়রদের ডাকাডাকি শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে যাবার কথা।কিন্তু কোন কারণে তা’ হয়নি।কিছু কিছু মানুষের কিছু কিছু ব্যাপার বোধহয় কখনো বদলায় না। আমার যেমন কোন সিনিয়র ডাকলে কিংবা সারি থেকে ফল আউট হতে বললে বুকের মদ্ধে একেবারে ধ্বক করে উঠতো… পুরা জুনিয়র টাইমে এই ব্যাপারটার কখনো ব্যতিক্রম হয়নি … কেবল একটা সময় ছাড়া… বাকি অংশ পড়ুন

আফটার দ্য লাইটস আউট

ঘুম। দুই অক্ষরের এতটুকুন একটা শব্দ।অথচ প্রধাণ উপদেষ্টা থেকে রাস্তার ফকির, এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবেনা যার জীবনে ঘুম জিনিসটা আকাঙ্ক্ষিত নয়।ভার্সিটি জীবনে এর বিস্তার মনে হয় আরো বেশি।কত ক্লাস আর ক্লাসটেস্ট যে ঘুমের জন্যে অবলীলায় বিসর্জন দিয়েছি তার হিসাব নেই।মানুষ নাকি দিনে কাজ করে আর রাতে ঘুমায়।কিন্তু ভার্সিটিতে দেখি আমার বেশ কিছু ক্লাসমেট(মাঝে মাঝে আমি সহ) দিনেও ঘুমায় রাতেও ঘুমায়।সেই অর্থে ওরা মানুষ কী না সেই বিতর্কে না গিয়ে বরং ঘুম প্রিয়তার কথাটাই শুধু ভেবে দেখি।

ক্যাডেট কলেজে এত বেশি মাত্রায় ঘুমানোর কোন পথ খোলা নেই। কিন্তু যতটূকু আছে তা লুফে নেয়নি এমন বোকা খুজে পাওয়া খড়ের গাঁদায় সূচ খোঁজার মতই।রাতের বেলা পৌনে এগারোটা থেকে ক্যাডেট কলেজে ঘুমানোর সময় শুরু।যাকে লাইটস অফ বা লাইটস আউট বলা হয়।প্রচলিত আছে ক্যাডেটদের দিন শুরু হয় নাকি রাত থেকে।তাই লাইটস অফের পর থেকে শুধু ঘুমানোর রাজত্ব এমনও কিন্তু নয়।বরং বলা যায় এ সময়ে ঘুম আর জাগরণ এক সাথে জড়াজড়ি করে থাকে। বাকি অংশ পড়ুন

কেন আমি ঋণী?


ক্যাডেট কলেজের কাছে ঋণের কথাই বলছি। গত কয়েক দিন ধরে ভেবে বেশ কিছু কারণ বের করলাম যার জন্য আমার আজীবন ঋণী থাকা উচিত, ক্যাডেট কলেজের কাছে। ব্যাপারগুলো মোটেই হালকা নয়। ভেবে দেখলাম, ক্যাডেট কলেজে না গেলে আমার জীবন একেবারে অন্যরকম হয়ে যেতে পারত এবং সেই জীবন আমার পছন্দ হতো না। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, আমার যে সেই জীবন পছন্দ হচ্ছেনা তা তখন আমি বুঝতেও পারতাম না। কারণ অন্য কোন জীবনের সাথে আমার পরিচয়ও ঘটতো না। সেক্ষেত্রে পরিবারকেন্দ্রিক বিশুদ্ধ সামাজিক জীব হওয়ার ভান করতে হতো, যা এখন আর করতে হয়না। — বাকি অংশ পড়ুন

মনরে ওরে মন, তুই বড় বোকা…

মনরে ওরে মন, তুই বড় বোকা…

আমি ক্যাডেট লাইফে অনেকবার বোকা হয়েছি। আমার বোকামির ইতিহাস সুখপাঠ্য হবে কিনা জানি না, কিন্তু সেগুলো আমার আমার জন্য মোটেও উপভোগ্য ছিল না। ক্যাডেট কলেজের একজন ক্লাস সেভেনের ক্যাডেট এর জন্য পুরো জীবনটাই তখন এক দুর্বিষহ অত্যাচার এর মত ছিল। বিশেষ করে আমার বেড যখন ছিল প্রথম বেড এবং জানালার পাশের বেড। যে কোন সিনিয়র এর কোন কাজ করানোর দরকার হলেই তারা আমার উপর দয়া (!) করতেন। ফলে ক্লাস সেভেনে আমার বোকা হবার যথেষ্ট কারণ ছিল। বাকি অংশ পড়ুন

কাঁঠাল চুরি ও জ্বালানী সমস্যার সমাধান

চুরি করা কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি জীবনেও কাঁঠাল খাইতে পছন্দ করতাম না, কিন্তু কলেজে থাকার সময় কাঁঠাল চুরি কইরা, সেইটা খাওয়ার যে মজা, আমি কুনুদিনো ভুলুম না। যাইহোক, একবার কাঁঠাল খাইয়া আমি আর ইসলাম (২০১৬) হাতের কষ দূর করতে পারতাছি না। কাঁঠালের কষও ইমুন, হালার কুনো মতেই উডে না। শ্যাষে কি করুম, নিচে গিয়া, হাউস বেয়ারার রুম থেকে হারিকেন চুরি করলাম দুইটা। বাকি অংশ পড়ুন

নো স্মোকিং

প্লীজ কেউ সিগারেট খাবেন না। সিগারেটের প্যাকেটের গায়ের লেখাটা পড়েন নি?
“সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর”
লেখাটাকে তো একটুও বেল দেন না। আমি নিজে বলছি, সিগারেট খেলে হার্টের ক্ষতি হয়। বিশ্বাস হয় না আমার কথা??? তাহলে একটু কষ্ট করে আমার এই কাহিনীটা পড়েন। তাহলেই বুঝতে পারবেন কেন বলছি। বাকি অংশ পড়ুন

ডায়লগ মেলোডি ১.১ (মির্জাপুরিয়ান ভার্সন)

once upon a time অর্থাৎ একদা এক সময় আমরা যখন বাংলা মিডিয়ামে পড়তাম তখন দৌর্দন্ড প্রতাপশালী শিক্ষকদের বাক্যের কারুকার্য দেখাতে তেমন একটা কষ্ট পেতে হতোনা।মাতৃভাষায় মনের মাধুরী মিশিয়ে ভাষার নানা কারুকার্য তারা আমাদের অর্থাৎ ক্যাডেটদের মাঝে উপস্থাপন করতেন। শিক্ষকদের সেই সোনালী সময় থেকেই শুরু করি। বাকি অংশ পড়ুন

বিনা খরচায় চড়ের চর্চা

শরিফউদ্দিন স্যার-৭ টা
নুরুল হক স্যার- ২ টা
রাখাল স্যার-১টা
দেবব্রত মল্লিক স্যার-২টা
এডজুটেন্ট মামুন আল মাহমুদ স্যার-২টা

এতদিন পরে এসে এই কয়টার কথাই মনে আছে।ডায়েরীতে সবগুলার কথা তারিখ সহ লেখা ছিল। কিন্তু ঐটা আপাতত নিঁখোজ আছে।পরে মনে পড়লে যোগ করবো।

আর এমন কেউ কি আছে যে আমার চড় খাবার রেকর্ড ভাংগার জন্য হুমকি স্বরুপ??

কমেন্টস দিয়ে আওয়াজ দে…

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে এক্স-ক্যাডেট তামিম


গত ৯ তারিখ বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চারজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। ১০ তারিখ ৫ জনকে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কে কে উপদেষ্টা হল তা দেখার জন্যই বিবিসি’র বাংলা ওয়েবসাইটে গেলাম। গিয়ে দেখি ৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি আরও ৩ জনকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই তিন জন হলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মালেক মোল্লা, চাকমা রাজা এবং পাব্যর্ত শান্তি চুক্তির অন্যতম সংগঠক ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম। শেষের নামটি দেখে তো নিজের বুকের ছাতি কয়েকগুণ বেড়ে গেল। কারণ তামিম ভাই আমাদের এক্স ক্যাডেট। — বাকি অংশ পড়ুন>

চাচা কাহিনী (মাত্র শুরু)

গতকাল বাজারে গিয়েছি। হঠাৎ চাচার ফোন।আমিতো অবাক। চাচারতো এমন সময়ে ফোন আসার কথা না।তারচেয়ে বলা ভাল চাচা যেখানে আছে সেখান থেকে এখন ফোন করতে পারার কথা না।যাইহোক কিছুটা কৌতূহল নিয়েই ফোনটা ধরলাম।
– আরে চাচা, কেমন আসো??
-ভালা,তোমার খবর কি?
-এইতো।তুমি কোথায়?কেমনে ফোন করলা??অইখানে তো নেটওয়ার্ক থাকার কথা না।
অবশেষে জানা গেল চাচা খাগড়াছড়ির কোন একটা পাহাড়ের উপরে।নিচে নেটওয়ার্ক নাই দেখে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে হলেও গ্রামীনফোনকে তার টাকা দেয়া চাই।আজকালকার জামাইরাও মনে হয় শ্বশুরবাড়িতে এত আদর পায়না।সবশুনে ভাবি এই না হলে চাচা।পাহাড়ের চুড়ায় ঊঠেও অনেক নিচে থাকা আমার কথা যত্ন করে মনে রেখেছে।মনটা খুশি খুশি হয়ে ওঠে। বাকি অংশ পড়ুন

ভিন্ন রকম


সবার শেষে কোনমতে শার্ট ইন করতে করতে একাডেমি ব্লকের দিকে ছুটছি। সেকেন্ড প্রেপ শুরু হতে কোন সময়ই আর বাকি নেই। আমি অবশ্য একা নই। সাথে আহসান। ডিউটি মাস্টার ব্লকের সামনে দাড়িয়ে না থাকলে সে যাত্রা বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ছিল। উপরন্তু, বেল পড়ার ইমেডিয়েট পড়ে ডিউটি মাস্টার একটা রাউন্ডে যায় প্রায়ই। কিন্তু ভাগ্য যতোটা খারাপ হওয়া সম্ভব তোতাটাই। ব্লকের ১০০ গজ সামনে থাকতেই বেল দিল এবং ব্লকে ঢুকে সরাসরি ডিউটি মাস্টারের সাথে মোলাকাত। এ আবার যেন তেন ডিউটি মাস্টার নয়, স্বয়ং নুরুল হক। নুরুল হকের মূল প্যাশন হল সেকেন্ড প্রেপে সবার ভেস্ট চেক করা। তাই আগে থেকে জানা থাকলে প্রায় সবাই তার ডিউটির দিন ভেস্ট পড়ে যায়। একে তো লেট, তার উপর নুরুল হক। তবে নুরুল হকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে; একই সাথে কয়েকটি ফল্ট হতে থাকলে সে গুরুত্ব বিচার করতে পারেনা। কোনটা ধরা দরকার আর কোনটা না ধরলেও চলে এ নিয়ে সে বিশেষ সংশয়ে থাকে। তাই লেট করার ব্যাপারটি না ধরে সে ধরল ভেস্ট। যথারীতি দুজনেই ভেস্ট ছাড়া। বাকি অংশ পড়ুন