নামগুলো সবগুলোই সত্যি। স্যার-ম্যাডাম ও ভাইয়াদের কাছে কাছে মাপ চেয়ে নিচ্ছি।০১. খুব হাসিখুশি হাসানুজ্জামান ভাই, গত চার পাঁচদিন ধরে কারো সাথে কথা বলছেন না, কি যেন একটা বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত। সারাদিন খাতায় জটিল সব ক্যালকুলেশন আর আঁকিবুকি করছেন। প্রেপেও খুব মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করছেন কি যেন।
শেষে একদিন গেমসের ফল-ইনে উনার মৌনতার পরিসমাপ্তি ঘটল। উনি পাশে দাঁড়ানো আন্দালিব ভাইকে ডেকে বললেন, “বুঝলি আন্দালিব…” সাথে সাথে সবাই চুপ। আমরাও। এতদিন পর কথা বলবেন হাসানুজ্জামান ভাই। উনি কি বলেন শোনার জন্য আমরা সবাই কান পেতে আছি।
“বুঝলি আন্দালিব, আমি এতদিন ধরে চিন্তা করে একটা জিনিস আবিষ্কার করলাম, ঢাকা থেকে ময়মনসিং যতদূর, ময়মনসিং থেকে ঢাকাও ততদূর।”
০২. নাসিম ভাই, আমাদের মামুনকে বললেন, “মামুন, একটা স্কচটেপ নিয়া আস আমার জন্য।” মামুনও বদমাইশ কম না। সে গিয়ে ক্লাস সেভেনের একটা ছেলের কাছ থেকে স্কচটেপ নিয়ে এল। নাসিম ভাই বললেন, “কার স্কচটেপ এটা?” মামুন বলল, “জ্বি ক্লাস সেভেনের কাছ থেকে আনছি।” নাসিম ভাই সাথে সাথে গর্জে উঠে, “তোমার SHAME নাই? তুমি জুনিয়রের কাছ থেকে স্কচটেপ ন্যাও?”
০৩. অ্যাডজুটেন্ট ভয়ানক রেগে এক ক্যাডেট বাংলা ছবির নায়কদের নাম ধরে গালি দিচ্ছেন, —“bloody রাজ্জাক, bloody ওয়াসিম, bloody …. তোমার নাম কি?”
—“স্যার, আলমগীর।”
০৪. নূরুল হক স্যারের ইংরেজী কথা মির্জাপুর বিখ্যাত। সানিয়াত ভাই এস.এস.সি এর ছুটির পর এসেছেন। উনার স্বাস্থ্য আগের চেয়ে বেশ ভাল হয়েছে (!!) (সানিয়াত ভাই, মাপ করে দিয়েন)। নূরুল হক স্যার উনাকে দেখেই বললেন, “সানিয়াত, ইউ আর ওয়েটিং” (মানে তোমার ওজন বেড়ে যাচ্ছে)
ডিউটি মাস্টার তিনি। লাইট্স্ অফের পর লাইট জ্বলতে দেখে চিৎকার করে, “হোয়াই আর ইউ বার্নিং দা লাইট?”
আরেকবার একজনকে স্যান্ডেল পরে হাঁটতে দেখে, “হোয়াই আর ইউ স্যান্ডেলিং?”
এক ক্যাডেট ভয়ানক অপরাধ করেছে, নুরুল হক স্যার হাউজ অফিসে তাকে তুলোধুনা করছেন। জুনিয়র প্রিফেক্ট এগিয়ে গেলেন বাঁচানোর জন্য, “স্যার, আমার কাছে দেন, আমি দেখতেছি।” স্যার রেগে জে.পি কে বললেন, “ডু নট বয়েল ইওর নোজ।” (নাক গলাইও না)
moral : সেই নূরুল হক স্যার ভুল করতে করতে এখন চমৎকার ইংলিশ বলেন।
০৫. তালুকদার স্যার ক্লাসে ভয়ানক জোরে কথা বলতেন। আমরা এ-ফর্মে বসে বি-ফর্মে কি বলছেন উনি পরিষ্কার শুনতে পেতাম। একদিন তিনি ক্লাসে এসেই চিৎকার করতে লাগলেন, “আমার পেটে অপারেশন হয়েছে… (গলা ফাটিয়ে আরো জোরে চিৎকার করে) আমার জোরে কথা বলা নিষে…এ…এ…এ…ধ”
০৬. সেলিনা ম্যাডাম, হোসাইন ভাইকে ডেকে বললেন, “এই তোমাদের ফর্ম লীডার কে?”
হোসাইন ভাই বললেন, “কাদের ম্যাডাম?”
ম্যাডাম আবার বললেন, “তোমাদের ফর্ম লীডার কে?”
হোসাইন ভাই বললেন, “কাদের ম্যাডাম।”
ম্যাডাম বললেন, “আরে তোমাদের”।
হোসাইন ভাই বললেন, “কাদের ম্যাডাম।”
ম্যাডাম এবার খানিকটা রেগে, “আরে তোমাদের তোমাদের তোমাদের”।
হোসাইন ভাই আরো জোরে বললেন, “কাদের ম্যাডাম।”
ম্যাডাম বললেন, “উফ্ তোমাদের… তোমাদের…”
এভাবে কতক্ষণ চলেছিল আমার জানা নেই…
Filed under: ডায়লগ সংকলন, মির্জাপুর |
দোস্ত তুই মাইয়া হইলে দুইটা চুম্মা লাগাইয়া দিতাম।জটিল হইসে…
পোলা দেইখা বাইচ্যা গেলি। 😀
moral: কলেজে থাকতে কোনদিন ই চিকি জুনিয়রগো দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকাইনাই। 😀
গে বইলা iut এর যথেষ্ট দুর্ণাম আছে। আর বাড়াইছ না।
ঢাকা থেকে ময়মনসিং যতদূর, ময়মনসিং থেকে ঢাকাও ততদূর।
জীব্বনেও না। বাসে গেলে একরকম দূর, প্লেনে গেলে একরকম আর হাইটা গেলে তো কথাই নাই।
moral: কোথাও যাইতে হলে বিমান ব্যাবহার করুন
লাষ্ট টা নিয়া আমারোও গল্প আসে…
আমাদের সালেহীন গায়ে গতরে আর সবার চেয়ে একটু বেশিই ছিল।
আমরা সবাই তারে এইটা নিয়া ক্ষাপাইতাম যে..ও নাকি বি,এ. ফেল করে তারপর কলেজে ভর্তি হইছে!!
তখন সালে হ্যাভবী ফর্মে আসে…আমি তারে ফর্মে রাখার
জন্য আপ্রান চেষ্টা করি।সারাদিন আমি সালের পিছে লেগে আসি।
একদিন ক্লাসে ম্যাডাম কয়,
“এই,তোমাদের “আঠারো বছর বয়স হইছে?(কবিতাটা)”
আমি কই,
“না ম্যাডাম ,কারো হয় নাই ।শুধু সালেহীনের পঞ্চাশ!!
(আমিও কিন্তু না বুঝেই কথাটা কইসিলাম..
তখন অবশ্য হিট হয়ে যাওয়ার ফলে স্বীকার করি নাই…)
নাহ,রায়হান…এইরকম সীমীত জ্ঞান নিয়ে যে ক্যান মন্তব্য কারস!!
তোর স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দরকার।
জলদি যোযোগ কর…সিস্টেম কইরা দিমু….
বিষয়ঃ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যতদূর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাও ততদূর
হাসানুজ্জামান ভাইয়ের প্রমাণ থেকে প্রমাণিত।
রায়হান তুমি হইলা বার্জেলিয়াস (আজীবন খালি ভুল সুত্র দিয়ে গেছে বসে)। কারণ ঐ ব্যাটা দুরত্ব কি সময় দিয়ে মাপে? দূরত্বের একক কি সময়? যে প্লেজে এক দুরত্ব আর বাসে আরেক দুরত্ব।
ব্যাতিক্রমঃ (বাংলা ব্যাকরণ এর মতই নিয়মের থেকে ব্যতিক্রম বেশি)
বাংলাদেশ থেকে জাপান যতদুর জাপান থেকে বাংলাদেশ ততদূর না কারণ হইল জাপান থেকে বাংলাদেশের টিকিটের ভাড়া যত বাংলাদেশ থেকে জাপানের টিকিটের ভাড়া তার থেকে বেশি।
হ হ। এইবার বুঝতে পারলাম দুরত্ব টাকা দিয়া মাপা হয়। ছ্যেরি…
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি…
আমি সারা জীবনে যত না হাসছি কামরুল ভাইয়ের মন্তব্যের পর রায়হান এর মন্তব্য পড়ে তার চে বেশি হাসছি। (একটূ বেশি বইলা ফালাইলাম মনে হয়)
হাহাহাহাহাহাহা। চরম উত্তর ফাটাফাটি। দুরত্ব সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি ভেবেছিলাম কিন্তু আরো জট পাইকা গেল।
আগামী একমাস আমার বন্ধ ততদিনে কলেজের সব কাহিনী তুলে দিতে চেষ্টা করব।
হাহাহাহা….তপু ভাইয়া ভালো একটা ফ্লপ খাইলা মনে হয়..
ভালো লাগলো।এত কথা মনে থাকে কেম্নে?
তুহিনের ডায়রিতে সব লেখা আছে।
তোমার ডায়রিতেও তো অনেক লেখা আছে।
পোস্ট করো।